পাবলিক লইব্রেরী কি বই পড়ার জন্য নাকি পাঠ্যবই পড়ার জন্য?
এ প্রশ্নের যথাযথ উত্তর মিলবে শাহবাগে অবস্থিত আমাদের সবচেয়ে জনপ্রিয় পাবলিক লাইব্রেরী “সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগারে” গেলে।
সেখানে পড়ার জন্য জেতে হলে অনেক সকাল থেকে লইনে দাড়াতে হয়। এ লাইব্রেরী এতটাই জনপ্রিয় যে পত্রিকার কক্ষটিতেও জায়গা পাওয়া যায়না। সেখানেও বই পড়ানিয়ে ব্যস্ত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শুনতে খুবই ভালো লাগে যে তরুনরা এখন পড়াশোনায় বেশ মনযোগী। কিন্তুু যে পড়শোনা সেখানে হয় তাবে আলোকিত না হয়ে বরং অন্ধকারেই থাকতে হবে আমাদের প্রতিভাবান তরুনদের। সেখানে চর্চাহয় কিভাবে চাকরি পেতে হয়। সবাই চাকুরির জন্য পড়াশোনা করে আলোকিত হওয়া জন্য নয়।
বিভিন্ন নিয়োগ পরিক্ষা, বিসিএস, ভর্তি পরিক্ষার শিক্ষার্থীরা সকাল ৭টা থেকে রাত রাড়ে আটটা পর্য্যন্ত শুধুই কতগুলো সিট আর গাইডবই পড়ে। কেউ সাহিত্যের কোন বই বা উচ্চতর ডিগ্রির কোন বই নিয়ে পড়ছে এমন ঘটনা বিরল। অর্থাৎ গ্রন্থাগারকে বানিয়েছে রিডিংরুম। এমনকি যারা গ্রন্থাগারের প্রকৃত পাঠক, যারা আলোকিত হবার জন্য আসেন তারাও পড়ার জায়গা না পেয়ে ফিরে যেতে হয়।
এই শিক্ষাব্যবস্থা দিন দিন আমদেরকে পঙ্গুকরে দিচ্ছে। আমরা শুধু চাকুরি করার চিন্তাই করব, চাকুরি দেয়ার চিন্তা নয় কেন?
তবে একটি ভালো দিক হচ্ছে, পড়াশোনার এই আগ্রহ থেকেই অনুমান কারা যায় যে আমাদের দেশের শিক্ষর্থীরা চেষ্টা করে নিজেদের সর্বোচ্চ অর্জন নিশ্চিত করতে চায়। অভাব শুধু সুযোগ সুবিধার। পয়োজন পড়াশোনার ভালো একটি পরিবেশ।
জানামতে প্রতিটি জেলাতেই এ ধরনের গ্রন্থাগার আছে। আশাকরছি সেগুলোর অবস্থা এখনো ভালো আছে।
বই পড়িলে আলোকিত হওয়া যায় এটা সত্য কথা। তবে পাঠ্যবই পড়িলেই কি আলোকিত হওয়া যায়?
পাবলিক লাইব্রেরী কতৃপক্ষ ও যারা বইপড়া আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত তারা কি এ ধংশের হাত থেকে পাবলিক লাইব্রেরিকে বাঁচাতে এগিয়ে আসবেন?
“পড়িলে বই আলোকিত ইই
না পড়িলে বই অন্ধকারে রই”