বিশ্বযুব উৎসব ২০১৭ এ অংশগ্রহণের জন্য অবস্থান করছি মস্কোতে। সারা বিশ্বের ১৫০টি দেশের বিশ হাজার তরুনের অংশগ্রহণে এই উৎসব। ১৪-২২ অক্টোবর এই উৎসব অনুষ্ঠিত হবে রাশিয়ার সচিতে অবস্থিত অলিম্পিক পার্কে। দীর্ঘ ১৬ ঘন্টার বিমান ভ্রমণ শেষে মস্কোতে পৌছলাম। দোহাতে ৫ ঘন্টার ট্রান্সিটের সময় বিশাল আয়তনের হামাদ আন্তর্জাতিক বিমান বন্ধর ঘুরে দেখলাম। দোহাত বিমান থেকে নামার সময় পেয়ে গেলাম বুয়েটের একজন অংশগ্রহণকারীকে। নাম আসিফ। পরে আরো কয়েকজনকে পেলাম।
১৩ তারিখ রাতে মস্কো পৌছে জানতে পারলাম বিমানের টিকিট সংকটের কারণে একদিন পর উৎসবস্থল সচিতে যেতে হবে। রাশিয়ার রাজধানী মস্কো থেকে সচিতে বিমান যোগে দুই ঘন্টা ৩০মিনিটের দূরত্ব। ২৪ ঘন্টা এয়ারপোর্টে বা তার আশপাশেই তাকতে হবে। আমার মতো এরকম কয়েকশ যাত্রি এয়ারপোর্টে ফ্লাইটের জন্য অপেক্ষা করছে। পরিচিত হওয়া বন্ধুরা সবাই একে একে বিদায় নিল। সবাই অগে থেকেই মস্কো টু সচি টিকিট নিশ্চিত করতে পেরেছে। উৎসবের মাত্র কয়েকদিন আগে নতুন চাকুরীতে যোগদান করেছি। সরকারী চাকুরীতে যোগদানের পর পরই ছুটি পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। অফিসের উর্ধতন কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ছুটি নিশ্চিত হয়েছে ফ্লাইটের কয়েক ঘন্টা আগে। তাই পুরোপুরি প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হয়নি। তারপরও আসার সুযোগ পেয়েছি, এটাই বা কম কি।
মস্কোতে একদিন থাকতে হবে। সিদ্ধান্ত নিলাম মস্কো ঘুরে দেখার সুযোগ হাতছাড়া করা করবো না। রাতটা কোনমতে কাটিয়ে ভোরে ওয়াইফাই সংযোগের চেষ্টা করছিলাম। ওয়াইফাই সংযোগ দিতে হলে স্থানীয় মোবাইল সিম থাকা লাগবে। তাই রাতে সংযোগ দিতে পারিনি। অনেকক্ষন চিন্তা করারপর একটা মাথা থেকে একটা বুদ্ধি বের করলাম। রাশিয়ার একজন যাত্রীর মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে ওয়াইফাই সংযোগ পেলাম। রাশিয়াতে সবচেয়ে বড় সমস্যা হল ভাষা। এখানকার মানুষ তাদের নিজস্ব ভাষা ছাড়া অন্যকোন ভাষায় কথ বলতে পারে না। এ বিষয়ে বিস্তারিত একটি লেখার কথা মাথায় আছে।
ওয়াইফাই সংযোগ নিয়ে প্রথমেই সবাইকে আমার অবস্থান জানালাম। এরই মধ্যে পাশতেকে দুউজন তরুণ ইংরেজিতে জিজ্ঞেস করল “ভাই, আপনি কি সচির উৎসবে যাবেন? কোন দেশে থেকে এসেছন?”। এভাবে পরিচয় পর্বে জানতে পারলাম তারা মস্কো থেকে এসেছে যুব উৎসবে যোগ দিতে। তারপর কি হল তা জানতে পরবেন পরবর্তী লেখাতে।
(চলমান)
১৩.১০.২০১৭