‘সংবাদের একটি সম্প্রসারণ যার সাথে মনের যোগাযোগ থাকে এবং যা মানবিক আবেদন তৈরী করে, তাকেই ফিচার বলে। তুলনামুলকভাবে বললে রিপোর্ট বা প্রতিবেদন হল রিয়েলিজম বা বাস্তব অন্যদিকে ফিচার হচ্ছে রোমানটিসিজম বা মানবিক।’ লেখালেখির প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ফিচার নিয়ে কথা বলছিলেন দৈনিক প্রথম আলোর উপফিচার সম্পাদক জাহিদ রেজা নূর। ফিচারের তিনটি অংশ সূচনা, অবয়ব ও উপসংহার বা সমাপ্তি। সবচেয়ে ভালো হয় যে বিষয়টি দিয়ে লেখা শুরু করছি তাই দিয়ে শেষ করা। একটা প্রশ্ন বা উদ্ধৃতি দিয়ে শুরু করা যেতে পারে তবে বিষয়ের বৈচিত্র থাকা জরুরী।
প্রস্তুতির জন্য পড়তে হবে গল্প, কবিতা ও উপন্যাস। ৬০০ শব্দের ফিচার লিখতে চাইতে ভাণ্ডারে ৬০০০ শব্দের লেখা লিখারমত উপকরণ থাকতে হবে। যথা সম্ভব ছোট বাক্যে লিখতে হবে। যে বিষয় বা যাকে নিয়ে লিখবো তার সম্পর্কে ভালো ভাবে জানতে হবে এবং ফিচার লেখার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সাক্ষাৎকার নিতে হবে। প্রস্তুতির জন্য যাদের বই পড়া পড়তে হবে-সংখ ঘোষ, হুমায়ূন আজাদ, হুমায়ূন আহমেদ, সঞ্জীব চট্টোপাথ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
গত ২ মে ২০১৮ তারিখে দৈনিক প্রথম আলোর কারওয়ান বাজার কার্যালয়ে আয়োজিত কর্মশালায় ফিচার লেখার প্রশিক্ষণ প্রদান করেন জাহিদ রেজা নূর, বানান ও ভাষা বিষয়ে ইসমাইল সাদি, শিশু সাহিত্যে আখতার হুসেন, গল্প লেখায় জাফর আহমেদ রাশেদ এবং কবিতা ও ছন্দের উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করেন দৈনিক প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সাজ্জাদ শরীফ।