”ফেইসবুক ব্যবহারকারীদের জ্ঞাতার্থে
সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পরিচালিত বা অনুমোদিত কোনো ফেইসবুক পেইজ নেই।”
গত ১০ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইটে দেওয়া একটি বিজ্ঞপ্তিতে এমনটি জানানো হয়। সম্পূর্ন বিজ্ঞপ্তিটি এই লিংক এ দেখুন।
বিজ্ঞপ্তিটি দেখার পর বেশকিছু প্রশ্ন মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে।
দেশের সবচেয়ে বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ফেসবুক পেজ থাকাটা উচীৎ নয় কি?
ফেসবুক পেজের নিয়ন্ত্রন কি কর্তৃপক্ষের কাছেই থাকতে হবে?
ফেসবুক পেজেবুক পেজের বিভ্রান্তিকর কোন তথ্য কতৃপক্ষের কাছে গুরুত্ব পাওয়া উচিৎ?
গনমাধ্যম কি পেজের তথ্য গুরুত্ব দেয়?
University of Dhaka’ ‘Dhaka University’ ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে বেশকিছু পেইজ যাতে কয়েক লক্ষ সদস্য রয়েছে। তো নিশ্চই শিক্ষার্থীরা পরিচালনা করছে। বিশ্ববিদ্যালয় চাইলে নিশ্চই একটি অফিসিয়াল পেজের নিয়ন্ত্রন নিতে পারে অথবা একটি নতুন পেজ খুলতে পারে। তা না করে কেন এই বিজ্ঞপ্তি? ফেসবুক পেজের তথ্যের ওপর যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমুর্তি নির্ভর করে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় কেন তাদের ভাবমুর্তি বাড়ানোর জন্য অফিসিয়াল পেজ পরিচালনা করছে না।
ওয়েবসাইটেতো সব খবর দেওয়া হয়। তাহলে ফেসবুক পেজ কেন প্রয়োজন?
কারনটি হচ্ছে ফেসবুকে একসঙ্গে লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে পৌছানো যায়। তবে ফেসবুকের উপর পুরোপুরি নির্ভর হওয়াও ঠিক না।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে রয়েছে যাতে সক্রিয় ২০/৩০ জন শিক্ষার্থী এডমিন হিসেবে কাজ করছেন। যারা দির্ঘদিন যাবৎ সফলভাবে পেজটি পরিচালনা করে আসছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও এমনটি হতে পারে। নিয়ন্ত্রন থাকবে প্রশাসনে কিন্তুু পরিচালনা করবে শিক্ষার্থীরা। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি সোসাইটিতো আছেই। তারা নিশ্চই এ ব্যপারে বিশ্ববিদ্যালয়কে সহযোগীতা কারতে পারবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের যোক্তিক সমস্য ও সমাধান তেুলে ধরা যেতে পারে কিন্তুু বিকৃত তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে ভাবমুর্তি নষ্ট করাটা শিক্ষার্থীদের মোটেও উচিত নয়।
আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেন আধুনিক, প্রযুক্তি নির্ভর ও বিজ্ঞান ভিত্তিক চিন্তা ভাবনা করে এটাই আমাদের প্রত্যশা।