গত দুইদিন ক্যাম্পাসে দীর্ঘ সময় কাটিয়েছি।
ভালো খারাপ মিলিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
আজ(৭ জুন) চলচ্চিত্র সংসদের নতুন সদস্য সংগ্রহের জন্য সাক্ষাৎকার পরীক্ষা নিয়েছি।
অত্যন্ত দুঃখজনক এইযে, বেশিরভাগ শিক্ষার্থী মৌলিক জ্ঞান চর্চায় শতভাগ পিছিয়ে। পরীক্ষাপাস ও সনদ অর্জনের প্রতিযোগিতার এ শিক্ষাব্যবস্থা জাতিকে খুব শিগ্রই পঙ্গু করে দিবে।
শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, সংগঠন চর্চার মাধ্যমে নিজেদে জ্ঞান সমৃদ্ধ করাতো দুরের কথা, করো মধ্যে বিন্দুমাত্র দেশপ্রেম লক্ষ করা যায়না। সমাজের জন্য, দেশেরজন্য ভালো কাজে আগ্রহ নেই শিক্ষার্থীদের। সবকিছুই ব্যক্তি সার্থে করতে চায়।
অসাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদ, প্রগতিশীল ও প্রতিক্রিয়াশীল, নগ্নতা ও অশ্লীলতা, সেক্স ও জেণ্ডার
এসব বিষয়ে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরই কোন ধারনা নেই এবং নিজের কোন অবস্থান নেই।
গতকাল কাটিয়েছি আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক আয়োজনে। কয়েক বছর পর বিশ্ববিদ্যালয়ে এরকম আয়োজন দেখে খুবই ভালো লাগলো। ৩০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতার্কিক ও বিচারকদের সাথে ভালো একটি সময় কাটিয়েছি।
কিন্তুু বিতর্কে নেই কোন তত্ব, তথ্য ও উদাহরন। মনগড়া সংজ্ঞায়ন, প্রতিপক্ষ দলের বক্তারা কি বলেছে তার সারাংশ, মিস্টার স্পিকার বলতে বলতেই ৫মিনিট পার করেন সবাই। সমস্যার কোন বাস্তবিক সমাধান বা উপযুক্ত কারন দেখাতে পারেননা কেহুই।
শিক্ষা ব্যবস্থায় দরকার বড় ধরনের পরিবর্তন। সাংগঠনিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক চর্চার প্রাধান্য থাকা উচিৎ। শুধু দক্ষ চাকর হয়ে বের হলে দাসত্ব থেকে মুক্তি পাওয়া যাবেনা। উদ্যোগী চিন্তা নিয়ে নিজেকে যুক্ত করতে হবে সৃজনশীল চর্চায়।