সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সব সংগঠনই নেতা তৈরী করে। সংগঠনে সেচ্ছাশ্রম দিয়ে বিভিন্ন কার্য্যক্রমে সবার মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহন করে তা বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে নেতৃত্বের চর্চা হয়ে থাকে। সদস্যরা সৃজনশীল ও সুদূরপ্রসারী চিন্তা বাস্তবায়ন করতে দলগতভাবে কাজ করেন। মানব কল্যানে ভালো কাজ করাটাই মূল লক্ষ্য। সংগঠনের ভালো কাজের মাধ্যমে দেশ, সমাজ সর্বপরি মনুষ উপকৃত হয়।
নেতার কাজ হচ্ছে সময় উপযোগি সঠিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সংগঠনকে অভিষ্ট লক্ষে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। একটি সংগঠনের জন্য নেতা যেমন গুরুত্বপূর্ন সদস্য বা কর্মীরাও সমান গুরুত্বপূর্ন। সময়ের সাথে সাথে নতুন নতুন সদস্য সংগঠনে যুক্ত হয় একইসাথে নেতৃত্বের পরিবর্তন করাটাও সাংগঠনিক চর্চা। নেতা আসে নেতা যায়, সংগঠন রয়ে যায়।
কারও নেতা হওয়ার ইচ্ছা থাকে কিন্তু যোগ্যতা থাকেনা অথবা যোগ্যতা থাকে কিন্তু ইচ্ছা থাকেনা। কারও মধ্যে দুটোই থাকে অথবা কোনটিই থাকেনা। সব মিলিয়ে সংগঠনের সঠিক নেতৃত্ব বাছাইয়ের প্রক্রিয়াটি গুরুত্বপূর্ন ও চ্যল্যন্জিং কাজ। নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জনের জন্য দীর্ঘ সময় সংগঠনের সাথে থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন ও অনেক ত্যাগ করার একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া পাড়ি দিতে হয়। সংগঠনে বিভিন্ন দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে নেতৃত্বের বিকাশ ঘটে। পরবর্তিতে পারিবারিক, সামাজিক ও জাতীয় পর্যায়ে নেতৃত্ব দিতে হয়।
একজন নেতা যোগ্যতার মাধ্যমে বাড়তি কিছু দয়িত্ব ও ক্ষমতা পেয়ে থাকে। এসবের সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে সংগঠনে অবদান রাখতে পারাটাই গুরুত্বপূর্ন। কেউ নেতা না হয়েও অনেক বেশি অবদান রাখেন এবং স্বরনীয় হয়ে থাকেন।
সংগঠন যথাযথ প্রক্রিয়ায় নেতা বাছাইয়ের পরও কারও কারও মধ্যে অসন্তোস থাকতে পারে। যা খুবই সাভাবিক এবং বিজ্ঞান সম্মত একটি বিষয়। গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় কারও ভিন্নমত থাকতেই পারে। নিউটনের সূত্র অনুয়ারী প্রত্যেক ক্রিয়ারিই একটি সমান এবং বিপরিত প্রতিক্রিয়া আছে। যে কোন কাজের গঠনমূলের সমালোচনার মাধ্যমেই সঠিক সমাধান বেরিয়ে আসে। সংগঠনের স্বপ্ন একটি আপেক্ষিক বিষয় এবং তা শেষ হয়না। সংগঠনে কোন কিছু অর্জিত হলে আমরা আরো বড় অর্জনের কথা ভাবি।