সেমিনার থেকে শুরু, শেষ কালে জলের গান, মাঝখানে উদীচী আর ছাত্রমৈত্রীর অনুষ্ঠান।
ভালোই কাটল প্রতিবাদ, অনুষ্ঠান, ও বন্ধুদের সাথে।
কিন্তু সমস্যা হল রাত্রে বাসায় এসে যখন টেলিভিশনে খবর দেখছি। এতসব ভালো ভালো অনুষ্টান অথচ খবরে এর কোনটিই নেই। আছে শুধু রাজনৈতিক খবর। সাংগঠনি আয়োজন ও অনুষ্টানকে মিডিয়া গুলোকি প্রধান্য দেয়না? সংগঠন চর্চা আমাদেরকে যে ভাবে সম্পৃদ্ধ করে তা কেউই উপলদ্ধি করতে পারেনা। আথচ দিনদিন সংগঠন চর্চার প্রতি আমার যোক বাড়ছেই। যতবেশি সাংগঠনিক কাজে যুক্ত হই ততই ভারো লাগা কাজ করে।
সংগঠই চর্চা পারে দেশ ও সমাজকে এমন কিছু দিতে যা শিক্ষাও পারেনা। যুক্তি হিসেবে দেখাতে পারি কিছু উদাহরন।
উদাহরন ১. আমাদের সামাজে যারা বেশি শিক্ষিত তাদের মধ্যেই সবচেয়ে বেশি এবং বড় দুর্নিতিবাজ হয়।
উদাহরন ২. যারা সবচেয়ে বড় ও ক্ষমতাশীল নেতা তাদের মধ্যেই দুর্নীতিবাজ, ঘুশখোর, সন্ত্রাসি, চাদাবাজ বেশি।
উদাহরন ৩. যার টাকা আছে সেই সমাজের বেশি ক্ষতি করে। অন্যের সমস্যার কথা না ভেবে নিজেরটাকে বেশি গুরুত্বদেয়। সে মনেকরে টাকা থাকলে সবই কেনা যায়।
এরকমই আরো অনেক অনেক সমস্যা সৃষ্টি করে যারা শিক্ষিত, যাদের টাকা আছে, ক্ষমতা আছে।
কিন্তু যে ব্যক্তি সংগঠনে থেকে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মাধ্যেম নিজের মানসিক ও নৈতিক দিকটাকে সমৃদ্ধ করে। সে কখনোই সমাজ বা দেশের ক্ষতি করবেনা বরং সাধ্যমত অবদান রাখবে।
এমনকি তার কোন শিক্ষা নাও থাকতে পারে তবুও সে ভালো-খারাপ ন্যায়-অন্যায় বুঝবে।
এর পেছনে যুক্তি পাল্টা যুক্তি থাকতে পারে। কিন্তু সংগঠনকে মিডিয়াগুলোর আরো অধিক গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
একজন ব্যক্তি নিজের জীবিকা নির্বাহের পাশাপাশি সেচ্ছাসেবক হয়ে সংগঠনে কাজ করে বা অবদান রাখে। সংগঠন র্চ্চায় সে মেধা, শ্রম, সময় দিয়ে বড় বড় অনুষ্ঠান ও কর্মকান্ডের আয়োজন করে।
তাই সংগঠন র্চ্চার মাধ্যমেই তারমেধ্যে দেশপ্রেম, মনবতা, নৈতিকতা এসব গুনাবলি বিকশিত হয়।
সংগঠন চর্চার মাধ্যমে নেত্রিত্যের গুনাবলি বিকশিত হয়।আমাদের এখন ভালো নেতা দরকার। যে নেতা দেশের জন্য দশের জন্য বিলিয়ে দিবে।
এখনই হয়তো সংগঠন র্চ্চাকরে ভালো নেতা তৈরী করা সম্ভব নয়। কিন্তু এই মূহূর্ত থেকে সংগঠন র্চ্চা করলে একজন ১০ বিছর পর ঠিকই ভালো নেতা হয়ে বেরহবে।
তাই সংগঠন চর্চার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে সংবাদ মাধ্যমের উচিত সংগঠন চর্চাকে উৎসাহিত করা। এর গুরুত্ব সবার কাছে তুলে ধরা।
আমার মনে হয় বর্তমান রাজনৈতিক সহিংস অবস্থার জন্য দায়ি নেতাদের মধ্যে সংগঠন চর্চার অভাব